চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাসে সহপাঠীকে মারধরের অভিযোগে জাবেদুল ইসলাম নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অভিযুক্ত জাবেদুল ইসলাম এমবিবিএস ৬৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। মারধরের শিকার ইশতিয়াকুর রহমানও একই ব্যাচের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৬৩ ব্যাচের একদল শিক্ষার্থী রোজার বন্ধের আগে নিজেরা ক্লাস না করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ইশতিয়াক তাদের কথা না শুনে ক্লাস করতে যায়। এ নিয়ে গতকাল (বুধবার) তাকে জাবেদুল ইসলাম মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে আজকে (বৃহস্পতিবার) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠকে অভিযুক্ত জাবেদকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন- চমেকের ৬২তম ব্যাচের ছাত্র এম এ রাইয়ান, মোবাশ্বির হোসাইন শুভ্র, জাহিদ হোসাইন ওয়াকিল ও সাকিব হোসেন।

এ ঘটনায় ১৬ মার্চ অভিযুক্ত চমেক ছাত্রলীগের ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। তাদের মধ্যে- ৫৯ তম ব্যাচের অভিজিৎ দাশকে তিন বছর এবং ৫৯ তম ব্যাচের মো. রিয়াজুল ইসলাম জয়, ৬২ তম ব্যাচের সাজু দাশ ও একই ব্যাচের সৌরভ দেব নাথকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া ৬২ তম ব্যাচের মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন সায়েল ও মো. ইব্রাহিম খলিল সাকিবকে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এমআর/এমজে