নেত্রকোনার বারহাট্টায় দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণকে (১৬) কুপিয়ে হত্যায় জড়িত মো. কাওসার মিয়াকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রীতিলতা ব্রিগেড।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, মুক্তি হত্যার দ্রুত ও সর্বোচ্চ বিচার করতে হবে; নারীর জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র গড়তে হবে; প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠন করতে হবে; ইভটিজিং বিরোধী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সমাবেশে প্রীতিলতা ব্রিগেডের সমন্বয়ক সুমাইয়া সেতু বলেন, আমরা দেখি যে হত্যার শিকার ও যে হত্যা করেছে তারা দুজনেই কিশোর বয়সের। বর্তমানে গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গ্যাং আগে বেশি একটা ছিল না। এসব বর্তমানে নতুন সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে।

তিনি বলেন, মানুষের মানুষ হয়ে গড়ার উপাদান এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা করতে পারছে না। শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশ এই সরকার দিতে পারছে না বলে তারা মানুষ হিসেবে গড়ে না ওঠে অমানুষ হয়ে গড়ে উঠছে। বর্তমানে ক্ষমতার আশ্রয়ে অপরাধ করলেও ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে কিংবা বিচারের আওতায়ই আসছে না। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলেই গ্রামে অপরাধ বেড়েই চলছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি প্রতিটি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী সেল থাকার জন্য। এই সেল আজ সেই স্কুলে থাকলে হয়ত মুক্তিকে মরতে হতো না। এসব অনিরাপত্তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

এইচআর/এসকেডি