ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বার্ষিক বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বাজেট পাস হয়।

সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সিনেট সদস্যদের উপস্থিতিতে বাজেট পাস বলে ঘোষণা করেন।

বুধবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। 

এ সময় তিনি বলেন, ২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরের জন্য সিন্ডিকেট ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার প্রস্তাবিত পরিচালন বাজেট অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৭২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ৬৮.২৯ শতাংশ; গবেষণা মঞ্জুরি বাবদ ১৫ কোটি ৫ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ১.৬৪ শতাংশ; অন্যান্য অনুদান বাবদ ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ৩.৬৯ শতাংশ; পণ্য ও সেবা বাবদ ২০৮ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২২.৭৬ শতাংশ এবং মূলধন খাতে ৩২ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ৩.৫৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিমক থেকে পাওয়া যাবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ কোটি ৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.৫৮ শতাংশ।

সংশোধিত বাজেটের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২২-২০২৩ সালের মূল বাজেট ছিল ৯২২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সংশোধিত বাজেটে ২ কোটি ২ লাখ ৩৫ হাজার বৃদ্ধি করে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৯২৪ কোটি ৫০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। উক্ত সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে অনুদান ৭৩৮ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৮৩ কোটি টাকা সহ আয় ধরা হয়েছে ৮৬৬ কোটি ৯ লাখ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৬.৩২ শতাংশ।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো লাভজনক প্রতিষ্ঠান নয় বিধায় নিজস্ব তহবিল থেকে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে না। প্রতি বছর এভাবে তহবিলের ঘাটতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের নতুন নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে অথবা সরকারের নিকট হতে বিশেষ অনুদান চাওয়া যেতে পারে।

এইচআর/ওএফ