ঢাবি শিক্ষক রাশিদ মাহমুদ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া এলাকায় গবেষণার কাজে নিয়োজিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নৃবিজ্ঞানী রাশিদ মাহমুদের (৪৭) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে মারা যান তিনি।

নৃবিজ্ঞানী রাশিদ মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। তিনি ফেনী জেলার বাসিন্দা। তিন মাস ধরে তিনি শ্যামনগরের ভুরুলিয়া ইউনিয়নের চালিতাঘাটা গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে গবেষণার কাজ করছিলেন। তার সহযোগী হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নিসর্গ নিলয়।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহণের পর অধ্যাপক রাশিদ মাহমুদ সহকারী নিসর্গ নিলয়কে রুমে রেখে অন্য রুমে চলে যান। এ সময় অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে  শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শ্যামনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের পরিচালক গাজী ইমরান হোসেন বলেন, তিন মাস আগে কমিউনিটি বেজ ওয়াটার ম্যানেজমেন্টের ওপর গবেষণার কাজ করার জন্য অধ্যাপক রাশিদ মাহমুদ সাতক্ষীরায় আসেন। আমি বিভিন্ন সময় গবেষণার কাজে স্যারকে সহযোগিতা করেছি। রাতেই তার মরদেহ ফেনীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অজয় সাহা বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি। শ্যামনগরে তিনি গবেষণার কাজে এসেছিলেন বলে জেনেছি। তার সহকারীর মাধ্যমে জানতে পেরেছি তার ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ছিল।

রাশিদ মাহমুদের বাসার মালিক জানান, হঠাৎ কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে পড়ে যান তিনি। রাতেই ঘটনাটি থানায় জানানো হয়েছে।

শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আকরামুল ইসলাম/এসপি