সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার লাঙ্গলঝাড়া এলাকায় বসতঘর থেকে মা ও দুই শিশুসন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি তিনটি উদ্ধার করা হয়।

ঘরের মধ্যে মা মাহমুদা খাতুনের (৩০) ঝুলন্ত মরদেহ, ছেলে মাহফুজ (৯) ও মোহনা খাতুনের (৪) ঘরের মেঝে থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মাহমুদা খাতুনের স্বামী শিমুল পেশায় একজন ট্রাকচালক। তিনি বাগেরহাট জেলায় কাজ করেন।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, কয়েক দিন আগে প্রতিবেশী লাল্টুর ছেলে হৃদয় (১২) শিশু মোহনা খাতুনকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে শিশুটি তার মাকে এ ব্যপারে জানায়। এতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সাফিজুল ইসলাম শাফিকে বিচারের জন্য বলেন মোহনার মা মাহমুদা। পরে ইউপি সদস্য তাকে ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণের পর বিচার করার আশ্বাস দেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে লাঙ্গলঝাড়া বাজার থেকে নাশতা কিনে বাড়িতে আনেন মাহমুদা। এরপর খাওয়াদাওয়া করেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘরের মধ্যে তাদের তিনজনের মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেন।

এ বিষয়ে শিমুল হোসেনের বাবা আব্দার আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মামলার পরামর্শ দেন। আমরা গরিব মানুষ। এখন মামলার খরচ চালাব কীভাবে? সকালে আমি দিনমজুরের কাজে গিয়েছিলাম। এসে দেখছি তিনজনই মারা গেছে।

কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। মাহমুদা বেগমের ঝুলন্ত ও শিশু দুটির মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বা এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা, সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।

আকরামুল ইসলাম/এনএ