জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ককটেল ফাটিয়ে মোটরসাইকেলে চড়ে পালানোর সময় তিন সন্দেহভাজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত তিনজনের নাম বখতিয়ার চৌধুরী শাহিন, নুর মোহাম্মদ সিকদার ও রবেল হোসেন। তবে, প্রাথমিকভাবে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সোয়া ১০টার দিকে দুইটি মোটরসাইকেলে চেপে চারজন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ককটেল ফাটিয়ে পালানোর সময় রাস্তায় পড়ে যায়। এসময় আশপাশে থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মধ্যে তিনজনকে ধরে বেধড়ক মারতে থাকে। 

একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। এসময় তাদের ছাড়াতে চাইলে পুলিশের সামনেই মারধর করতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানও উপস্থিত ছিলেন। এরপর পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ছাত্রলীগের মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল হয়ে টিএসসির দিকে আসছিলাম। আনুমানিক সোয়া ১০টায় হঠাৎ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ৪-৫টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনজনকে বাইকে করে পালিয়ে যেতে দেখে আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলি। তাদের নাম বখতিয়ার চৌধুরী শাহিন, নুর মোহাম্মদ সিকদার ও রবেল হোসেন। এরপর তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমাদের টিম সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করছে। এখন পর্যন্ত কারো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে শিগগিরই সেটি শনাক্ত করা হবে। শাহবাগ থানায় বলে দেওয়া হয়েছে, তারা পরিচয় জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের বিষয়টি অবহিত করবে।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কেএইচ/কেএ