বিরল রোগে মারা গেলেন ববি শিক্ষার্থী
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহদী স্টিভেন জনসন সিনড্রোমে মারা গেছেন
করোনা মহামারির মধ্যেই দেশে দেখা দিলো ‘স্টিভেন জনসন সিনড্রোম’ নামক বিরল এক রোগ। এতে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে মারা গেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাহদী।
আবদুল্লাহ আল মাহদী ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজারে।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন। তিনি মাহদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
আবদুল্লাহ আল মাহদীর বন্ধু সলিম স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, কিছুদিন ধরে মাহদীর হালকা ঠান্ডা, জ্বর, চোখ লাল আর শরীরে ফোসকা পড়া শুরু হয়েছিল। চিকিৎসক বিষয়টিকে পক্স হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং সেভাবেই চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু পরের দিন থেকে জ্বর বাড়ার সঙ্গে শরীরে ফোসকার পরিমাণ বাড়তে থাকে। ১০৩-৪ ডিগ্রি জ্বর থাকার কারণে জামালপুর মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা পক্স হিসেবে চিহ্নিত করেন। পরে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
রাতে আবার ১০৪/৫ ডিগ্রি জ্বর শুরু হয়। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকা আনা হয়। ঢাকায় অনেক হাসপাতাল ঘোরাঘুরির পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফ্রেন্ডশিপ স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তখন চিকিৎসক নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে বলেন, এটা স্টিভেন জনসন সিনড্রোম। খুব বেশি রেয়ার একটি রোগ। জ্বিনগত সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে এমন হয়। আর লক্ষণ অনেকটাই পক্সের মতো তাই সহজে চিহ্নিত করা যায় না।
স্টিভেন জনসন সিনড্রোম মূলত তীব্র প্রতিক্রিয়া সম্বলিত (hypersensitivity) একটি বিরল রোগ, যাতে সাধারণত এক মিলিয়নে ২-৭ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হন। এতে ত্বক ও মিউকাস ঝিল্লি আক্রান্ত হয়। দেহের চামড়া, ঠোঁট, মুখ গহ্বর, কণ্ঠ, অন্ত্র, পায়ু, মূত্রনালি, চোখ সবকিছুই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ ছাড়া ফোসকা পড়ে যায়। জীবাণু সংক্রমণও হতে পারে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি