রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পদে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আবারো ডাক পাননি নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বল্পনা রানী। তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভালো ফলাফলের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেরোবির অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু যথাযথভাবে আবেদন করলেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো চিঠি, প্রবেশপত্র, ইমেইল বা মেসেজ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে এবং অন্য কাউকে সুযোগ না দিতে কৌশলে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগেও বিশ্বববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগেও নিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জোবেদা আক্তারকে একই কৌশলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। পর্বর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দিয়েও কোনো সুফল মেলেনি।

স্বল্পনা রানী বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের ২০০৮-৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি স্নাতকে ৩.৭৫ ও স্নাতকোত্তরে ৩.৭৮ সিজিপিএ অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তিনি আবেদনপত্র জমা দেন।

স্বল্পনা রানী বলেন, আমি বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। চলতি শিক্ষক নিয়োগের জন্য যথাযথভাবে আবেদন করেছি। এই পরীক্ষার জন্য নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করেছিলোম। কিন্তু আমাকে এ পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো রকম চিঠিপত্র বা মেইল করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল কেটে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আলমগীর চৌধুরী জানান, তিনি দরকারি কাজে চট্টগ্রামে আছেন। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।

প্রসঙ্গত, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ বিভাগে ভালো ফলাফল করলেও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক হিসেবে চান না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ না দিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। এর ফলাফল স্বরুপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৬ বছরে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ২ জন শিক্ষার্থী নানা বিতর্কের মধ্যে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানান নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

শিপন তালুকদার/এমএএস