জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে এ আয়োজন হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা পুনর্মিলনীতে পরিচিত মুখগুলোকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে অনেকের সাথেই দেখা হয়ে ওঠেনি নানান কর্মব্যস্ততায়। সাবেক এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন পরিচিত সব মুখ এক ছাদের নিচে দেখতে পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন। প্রাণের বন্ধনে ফের মিলিত হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তারা।

পুনর্মিলনীতে আসা আরব আমিরাত দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিশ্লেষক লালন আলতাপ জানান, পরিচিত মুখগুলোকে একসঙ্গে দেখে মনেই হয়নি ঢাকায় আছি। ফিরে গিয়েছিলাম সেই ক্যাম্পাস জীবনে। এমন মিলনমেলায় যুক্ত হতে পেরে ভীষণ আনন্দিত। এতদিনের কর্মক্লান্তি যেন মুহূর্তেই উবে গেছে।

এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তুলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেরদৌস আহমেদ জীবন বলেন,‌‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটগন বাংলাদেশের ক্যাডার সার্ভিসসহ সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতে সুনামের সাথে কাজ করছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ১৮ বছর পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন গড়ে ওঠেনি। আমরা মনে করি নিজেদের পেশাগত মর্যাদা বিকাশের স্বার্থে দ্রুততম সময়ের মাঝে একটি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’

সাবেক শিক্ষার্থী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, এই ইফতার ও পুনর্মিলনীতে যোগ দিতে পেরে অনেক আনন্দ অনুভব করছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পুরোনো বন্ধু, বড় ভাই ও ছোটদের পেয়ে মনে হচ্ছে ক্যাম্পাস জীবনে চলে এসেছি। তাই ক্যাম্পাস জীবনে ফেলে আসা স্মৃতিগুলো বেশি বেশি মনে পড়ছে।

এমএ