শিক্ষার্থীদের ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার’ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২৫ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাবেদুল ইসলাম মনির সঞ্চালনায় এতে সভাপতি ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি কে এ এম সাকিব। এ সময় বক্তব্য দেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জেবা মাকসুরা, মতিউর পাটোয়ারী, রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান আসিফ প্রমুখ।

সংগঠনের সভাপতি কে এম শাকিব বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষা জীবন থেকে একটি বছর হারিয়েছি। আর একটি বছরও হারাতে চাই না। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে সকল শিক্ষার্থী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির সম্মুখীন। সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতা আর ইচ্ছা থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একাডেমির কার্যক্রম সচল করা সম্ভব।

এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে তারা অনলাইনে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। হতাশা কাজ করছে তাদের মধ্যে। এর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকে দায়ী করছেন তারা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যতদ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাবি শিক্ষকরাও। এ সময় মানববন্ধনে যোগ দিয়ে বক্তব্য দেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ খান, আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ।

এ সময় অধ্যাপক মাসউদ বলেন, সভ্য দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। সরকার চাইলে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারতেন। সরকার সেটি করেননি। এখন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির দিকে যাচ্ছে। 

শিক্ষকরা বলছেন, শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষকরাও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন। অনেক সময় পারিবারিক পরিমণ্ডলে এর প্রভাব পড়ছে। কখনো কখনো পরিবারের সদস্যদের ওপর আচরণ কঠোর হয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। 

ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় গবেষণা কার্যক্রম স্থবির জানিয়ে শিক্ষকরা বলেন, করোনা প্রতিরোধে কি ভূমিকা রাখা দরকার সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কারণে অনেক গবেষণা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে। তাই দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মাধ্যমে সেই পথ সুগম করার আহ্বান জানান তারা। 

এসপি