শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

‘এক বছরের বেশি সময় বন্ধ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় তারিখের তকমা নয়, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সচল করুন। এগুলো বন্ধ রেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেবেন না।’

শনিবার (২৯ মে) বেলা ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ক্লাস-পরীক্ষা সচল করার দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। জবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনটির আয়োজন করেন।

সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে শিক্ষার্থীরা বলেন- গার্মেন্টস, শপিংমল, আকাশপথ, নৌ-পথ, হাটবাজারসহ দেশের সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে, শুধু বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোথাও করোনা নেই, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা হয়?

মানববন্ধনে অবিলম্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বক্তারা বলেন, একটি জাতির ভাগ্য নির্ধারণ হয় শ্রেণীকক্ষে। কিন্তু আপনারা জাতির ভাগ্য নির্ধারণ নিয়ে কোনো চিন্তাভাবনায় নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সময়ে অনেকে ভিডিও গেমস, মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। অনেক মেয়ে শিক্ষার্থী বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। যেখানে গার্মেন্টস খোলা, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ? সরকার ও উপাচার্যের প্রতি আমাদের আবেদন হলো, অনাবাসিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদেরকে ভাববেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. শাহিন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনার উৎস না। হাট-বাজার, গার্মেন্টসে, লঞ্চে সবাই চলতে পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ? সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই নিম্নমধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ১.৫ থেকে ২ বছর একই ক্লাসে পড়ছি। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, তিনি আমাদের অবস্থা বুঝবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিবেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে আছি। কিছুদিনের মধ্যেই মিটিং করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি জানাবো।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নীলদল, বিভিন্ন অনুষদের কয়েকজন ডিন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।

এমএইচএস