শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। রোববার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয় শিক্ষকদের এই সংগঠনের পক্ষ থেকে।

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিত বলা হয়, ১৫ জুন থেকে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ পর্যায়ক্রমে (মাস্টার্স ৪র্থ বর্ষ, ৩য় বর্ষ, ২য় বর্ষ ও ১ম বর্ষ) নেওয়ার প্রয়োজনীয় উদ্যাগ নিতে হবে।

স্মারকলিপিতে পরীক্ষা চলাকালীন কেবলমাত্র পরীক্ষার্থীদের হলে থাকার ব্যবস্থা করা; সরকারের সাথে দ্রুত যোগাযাগ করে শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের টিকা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যাগ নেওয়ার দাবিও জানানো হয়।

এছাড়া আরও যেসব দাবি জানানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রের প্রচলিত বিধান অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নৈমিত্তিক ছুটি এবং চিকিৎসা ছুটি আইনি কাঠামোর মাধ্যমে নিশ্চিত করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিক্ষেত্রসমূহের পরিষ্কার-পরিছন্নতা নিশ্চিত করা, শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়ে দ্রুত সমাধানকল্পে প্রয়াজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং করোনাকালীন মেডিকেল সেবার মানোন্নয়ন এবং সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়াজনীয় পদক্ষপ নেওয়া।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আমার আলাচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, ভ্যাকসিন কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হল খোলা যাবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন নতুন করে ভ্যাক্সিন এলে সেটাতে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের কিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

এইচআর/এনএফ