জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সশরীরে অনুষ্ঠিত হতে পারে জুনের শেষে বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। পরীক্ষার আগে এক বা দুই সপ্তাহ অনলাইনে রিভিউ ক্লাস হবে। রোববার (৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমরা সশরীরে পরীক্ষা নেব। সব শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা একযোগে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। রিভিউ ক্লাস দুই সপ্তাহ হবে। জুনের শেষে বা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আমরা পরীক্ষা শুরু করব ভাবছি।

তিনি বলেন, একাডেমিক বিষয়গুলো আগামী মঙ্গলবারের (৮ জুন) মিটিংয়ে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের সেশনজট একদিনে কমানো সম্ভব নয়। আমরা চাইব সেমিস্টারের মাঝে যে বন্ধগুলো থাকে, সেগুলো না দিয়ে যাতে সেশনজট কমাতে পারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের মিটিং হবে মঙ্গলবার। সেখানে ক্লাস ও পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তবে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে ১ জুলাই। পরীক্ষার আগে দুই সপ্তাহ অনলাইনে রিভিউ ক্লাস হবে। যেহেতু আমাদের ক্লাসগুলো অনেক আগে শেষ হয়েছে, মাঝখানে অনেকদিন বন্ধ ছিল তাই রিভিউ ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষকরা মিলে রিভিউ ক্লাস এক সপ্তাহ ও অনলাইনে ক্লাস নেব ভাবছি । তবে মিটিংয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস বলেন, যারা অনার্স শেষ বর্ষ বা মাস্টার্সে আছে, তাদের আগে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। কারণ এদের চাকরি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় জড়িয়ে আছে। এরপরে প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষা সশরীরে নেব, অনলাইনে হবে না। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে জড়ো করা যাবে না। তবে মঙ্গলবারের মিটিংয়ে সবার মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. অরণ কুমার গোস্বামী বলেন, ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। পরীক্ষা সশরীরে নেব, অনলাইনে নেওয়া সম্ভব নয়। মঙ্গলবারের মিটিংয়ে একটা সিদ্ধান্ত হবে। পরে তা সরকারের কাছে পাঠানো হবে। হঠাৎ করে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব ও ঝামেলাপূর্ণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন ও আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস বলেন, আমি রিভিউ ক্লাসের পক্ষে নই। কারণ এটা নিলে পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে। রিভিউ ক্লাস নিলে নতুন করে ঝামেলা শুরু হবে, সেশনজট বেড়ে যাবে। আমি চাই অনার্স ও মাস্টার্স সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দ্রুততম সময়ে একযোগে শুরু করা উচিত।

 এমটি/আরএইচ/জেএস