সংহতি সমাবেশ

আগামী ১৪ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সাত কলেজের শিক্ষকদের বৈঠকের কথা রয়েছে। এ বৈঠক থেকে শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো সিদ্ধান্ত না এলে ঢাকা অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১১ জুন) রাজধানীর নীলক্ষেতের গণতন্ত্র ও মুক্তি তোরণের সামনে সংহতি সমাবেশকালে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সরকারি বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াদ হোসেন ও ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী শাহিনুর সুমি।

সংহতি সমাবেশে ডক্টরস প্লাটফর্ম ফর পিপলস হেলথের সদস্য ড. জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যগুলো যেন খুলে দেওয়ার একটি তালিকা। এসব অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য মাত্র। 

তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তারা ধীরে ধীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে, বিভিন্ন শিফটে ভাগ করে খুলে দিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে রূপরেখা তৈরিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী- চিকিৎসকদের মতামত নিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে কি এমন কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে? নেওয়া হয়নি। 

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ইসমাইল সম্রাট বলেন, আমরা মনে করি করোনার কারণে এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ৭০ শতাংশের মতো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশকে যদি বাঁচাতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের যদি বাঁচাতে হয়, এ রাষ্ট্রকে যদি বাঁচাতে হয়, সত্যিকারের মেধাবীদের দ্বারা পরিচালিত করতে হয়, তাহলে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সায়মা আফরোজ বলেন, আগামী ১৪ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও সাত কলেজের শিক্ষকদের বসার কথা আছে। আমরা ওই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব। আমাদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কমপক্ষে তিন মাস সময় দিতে হবে। 

তিনি বলেন, আমরা এখানে পরীক্ষার রুটিন ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন করছি না। আমরা বলতে চাই, স্বাস্থ্যবিধি অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে হবে৷ ভ্যাকসিনের অজুহাত আমাদের দেখাবেন না। ১৪ জুন  আপনারা শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা পুরো ঢাকা শহর অচল করে দিতে বাধ্য হব। আপনারা যদি মনে করেন-জাতির মেরুদণ্ড রক্ষা করতে হবে, তাহলে আপনার শিক্ষার্থীবান্ধব পরিকল্পনা নেবেন।

সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, চলচ্চিত্র সমালোচনা বিধান রিবেরু, ডা. মজিবুল হক আরজু সংহতি জানিয়েছেন বলেন জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
 
এইচআর/আরএইচ