শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে ঢাবির আবাসিক হলও। বন্ধ থাকাকালে হলে অবস্থান করার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কয়েকটি হলে থাকছেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, করোনার এই বন্ধে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক এসএম রিয়াদ হাসানের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন কর্মী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২২১, ২২২, ৩১৩ ও ৩১৫, ৩২২ নম্বরসহ আশপাশের কয়েকটি কক্ষে অবস্থান করছেন। প্রাধ্যক্ষ হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও তারা হল ছেড়ে যাননি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম রিয়াদ হাসান হলে থাকার বিষয়টি স্বীকার করলেও আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়াও সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) ও জগন্নাথ হলেও ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে অবস্থানের বিষয়ে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট (প্রাধ্যক্ষ) অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তারা থাকছে আমি জেনেছি, তাদের হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ অমান্য করছেন। দু-একদিনের মধ্যে আমরা একটি চূড়ান্ত অভিযান চালাব। আশা করি, তারা আর অবস্থান করতে পারবেন না। 

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি সঠিক নয়। আমি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হলে থাকতে দেখিনি। হাউজ টিউটিররাও দেখভাল করেন। তারা রিপোর্টও জমা দিয়েছেন। দু-একজনকে রাতে পাওয়া গিয়েছিল। তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ফরম পূরণ চলায় অনেক শিক্ষার্থী কাগজপত্রের জন্য হলে প্রবেশ করেন। এখন থেকে সন্ধ্যার পর প্রয়োজনেও আর কেউ হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হলে থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, এমন কিছু তথ্য আমরা পেয়েছি। হল প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তথ্য যেহেতু পেয়েছি, কাজ করা হচ্ছে। তারপরও দেখছি এই অভিযোগটা থাকছে। হল প্রশাসন যেহেতু স্বাধীনভাবে কাজ করে, আশা করছি অগ্রগতি হবে।

যারা থাকছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হল প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্ধের সময় কোনো শিক্ষার্থীর হলে থাকা কোনোভাবেই বৈধ নয়। কোনো হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা থাকছেন বলে আমার জানা নেই। হল প্রভোস্টরাও বিষয়টি আমাকে অবহিত করেননি।

এইচআর/আরএইচ