৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ও পুলিশ কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা অভিমুখী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে আটকে যায়।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্টেশন বাজারে ঢাকা-রাজশাহী রেললাইন অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করছেন। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ সময় অ্যাডমিট কার্ড পুড়িয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানান।

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘এক দিন তিন চার পিএসসি সৈরাচার’, ‘সবাই পায় ৬ মাস, আমরা কেন ২ মাস?’, ‘সময় চাই সময় চাই, যৌক্তিক সময় চাই’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ছাত্র সমাজের অ্যাকশ ‘, ‘সৈরাচারের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আবু সাইদের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ স্লোগান দিতে শোনা যায়। 

এসময় ফলিত রসায়ন ও রয়াসন বিভাগেের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম বলেন, পিএসসি আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে। সবাই পায় ৬ মাস আমরা কেন ২ মাস পাব? আমাদের সঙ্গে বৈষম্য কেন করা হচ্ছে? আমরা আজ যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। ঢাকাই আমার ভাইদের ওপর স্বৈরাচারী কায়দায় হামলা করা হয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমাদেরকে যৌক্তিক সময়ে দিতে হবে। যতক্ষণ না আমাদের দাবি আদায় হবে ততক্ষণ আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী আনিকা বলেন, ছাত্রদল, শিবির, এনসিপি সবাই এটা স্বীকার করেছে যেটা যৌক্তিক আন্দোলন। তাহলে কেন আমরা এর সমাধান পাচ্ছি না। আমরা কেন বৈষম্যের শিকার হব। দুই মাসে তো সিলেবাসই শেষ করা সম্ভব না, সেখানে দুই মাসে কিভাবে আমরা পরীক্ষায় বসব। শহীদ মিনারের সামনে আমাদের ভাইয়েরা অনশনে বসেছে। তারপরও আমরা কোনো সমাধান পাচ্ছি না। আমরা চাই পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে যৌক্তিক সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হোক। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) ফরিদ আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধের ফলে রাজশাহী থেকে ঢাকা অভিমুখী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে আটকে আছে। তাদের অবরোধ শেষ হলে হয়তো ট্রেনটি ছাড়া সম্ভব হবে।

জুবায়ের জিসান/আরকে