আনহেল ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। শেষ বাঁশি বাজতেই আর্জেন্টাইন সমর্থকরা বিজয় উল্লাসে মেতেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি চত্বরে। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় বৃহৎ পরিসরে আনন্দ উল্লাস করতে না করলেও প্রিয় দলের সমর্থনে মুহুর্মুহু উন্মাতাল স্লোগানে ফেটেছে টিএসসি।

রোববার (১১ জুলাই) কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলা শেষে এ দৃশ্য দেখা যায়। করোনা প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে উল্লাসে মেতেছেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। তাদের অনেককে মাস্ক পর্যন্ত পরতে দেখা যায়নি।

এর আগে রাত জেগে নিজ নিজ দলের জার্সি গায়ে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকরা টিএসসিতে জড়ো হতে থাকেন কোপা আমেরিকার ফাইনালের হাইভোল্টেজ লড়াই প্রত্যক্ষ করতে। আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি কিংবা ব্রাজিলের নেইমার যে-ই বল নিয়ে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের দিকে ছুটেছেন, তখনই সমর্থকদের স্লোগান আর চিৎকারে পুরো এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে যায়। এর মাধ্যমে টিএসসি যেন অনেক দিন পর কিছুটা প্রাণ ফিরে পায়।

আর্জেন্টিনা সমর্থক ঢাবির ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ মাহমুদ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আর্জেন্টিনা আমার প্রিয় দল। দীর্ঘ ২৮ বছর পর অর্থাৎ আমার জন্মের পর আর্জেন্টিনা শিরোপা না নিলেও সাপোর্ট করেছি। এই জয়ের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়। আমি অনেক অনেক, অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। বিশেষ করে মেসির জাতীয় দলের হয়ে একটা ট্রপি বড্ড প্রয়োজন ছিল। যেটা অবশেষে ধরা দিয়েছে। তাতে বেশি ভালো লাগছে। পরাজিত দলের প্রতি সহানুভূতি রইল।

আরেক আর্জেন্টিনা সমর্থক মেহেদী হাসান বলেন, আর্জেন্টিনা ও মেসির এই জয় অনেক প্রতীক্ষার। এই জয়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম আমরা সমর্থকরাও। আমাদের রাত জেগে খেলা দেখা সার্থক হলো। এটি আমাদের জন্যও একটি স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।

ব্রাজিল সমর্থক শিক্ষার্থী রবিন মাহমুদ বলেন, ২৮ বছর পর চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আর্জেন্টিনাকে অভিনন্দন। তবে ম্যাচ রেফারির সহযোগিতা তারা পেয়েছে, এটা মানতে হবে। আগামী বছর কাতার বিশ্বকাপ ব্রাজিলে হবে এমনটি প্রত্যাশা।

এইচআর/এসএসএইচ