সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সনাতন ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বরখাস্ত দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদ।

রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের হাতে এই আবেদন তুলে দেন। আবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতস্বরূপ অবিলম্বে বরখাস্তের দাবি জানানো হয়।

আবেদনে অ্যাডভকেট সুমন কুমার রায় উল্লেখ করেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এই স্বনামধন্য ও বাংলাদেশের সেরা বিদ্যাপীঠের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে শান্তি, শৃঙ্খলা, ঐক্যতাসহ সুন্দর দেশ ও জাতি গঠনে অবিলম্বে অভিযুক্ত শেখ হাফিজুর রহমানকে বরখাস্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।

এতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, মানুষ গড়ার কারিগরের এমন অভদ্রোচিত মনোভাব কোনোভাবেই কাম্য নয়। বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তাই উদ্ভব পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত স্বরূপ অবিলম্বে শেখ হাফিজুর রহমানের বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে একই দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে স্ট্যাটাস দেওয়ায় এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের অভিযোগ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কাছে দাবি জানায় সংগঠনটি।

তবে এ ঘটনা অসচেতনভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে উল্লেখ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান।

রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, অনেকে ব্যক্তিগত ও সামষ্টিকভাবে আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন। যারা আমার পোস্টটিতে আহত হয়েছেন ও কষ্ট পেয়েছেন, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

তিনি আরও লেখেন, আমি প্রত্যেকটি ধর্মের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল এবং মনে করি, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা উচিত নয়। তবুও অসচেতনভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে যদি আমার পোস্টের মাধ্যমে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে থাকি, সেজন্যে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

এইচআর/এসএসএইচ