ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই হলের নয়টি কক্ষ থেকে জিনিসপত্র চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (০৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের গ্রিল কেটে চুরি করা হয়। হলের দক্ষিণ ব্লক বা পুরাতন ব্লকের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থতলার ৯টি কক্ষের জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। এ ছাড়া হলের ডাইনিং থেকে অন্তত ছয়-সাতটি বেসিনের কল চুরি হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, প্রাচীর টপকে গ্রিল ভেঙে হলের ডাইনিংয়ে প্রবেশ করে চোর। কক্ষের সামনে তালাগুলো পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া কক্ষের ভেতরে জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে হল বন্ধ থাকায় কি কি জিনিসপত্র চুরি হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।

যেসব কক্ষে চুরি হয়েছে সেসব কক্ষের ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের রুমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সনদ, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, ফ্যান, জামা-কাপড়, টাঙ্ক, রাইসকুকারসহ রান্নার আসবাবপত্র ছিল। তবে হল বন্ধে বাড়িতে থাকায় কি হারিয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তারা। হলের নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইসালমী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, কারা এ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত এখন বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কি হারিয়েছে তা মেয়েদের সঙ্গে কথা না বললে বোঝা যাচ্ছে না। হল কর্তৃপক্ষকে যেসব কক্ষে চুরি হয়েছে সেসব কক্ষের মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি।

এসপি