জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে জবি শিক্ষার্থীর শিল্পকর্ম ‘ঐকাত্ম্য’
শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ২৪তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী নাঈম রাজের শিল্পকর্ম ‘ঐকাত্ম্য’ প্রদর্শিত হচ্ছে। গত ৯ জুন নির্বাচন কমিটির বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে শিল্পকর্মটি চূড়ান্ত প্রদর্শনীর জন্য মনোনীত হয়।
এটি পারফরম্যান্স আর্ট বিভাগে প্রদর্শিত হচ্ছে। নাঈম রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
শিল্পকর্মটির বিষয়ে নাঈম রাজ বলেন, প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বিশ্বকে আমরা উন্নতির চরম শিকড়ে যতই দেখছি ততই মানুষ থেকে মানুষকে দূরে সরে যেতেও দেখছি। এটা প্রচণ্ড ভয়ংকর। মানুষের আত্মিক বোধ ও সম্প্রীতি হ্রাস পাচ্ছে। ফলে ভালোবাসা মেকি রূপ ধারণ করেছে। পৃথিবী টিকেই আছে ভালোবাসার বন্ধনীতে। ভালোবাসায় পৃথিবীকে সজীব করে তুলতে মানুষের মধ্যে ঐকাত্ম্যের কোনো বিকল্প নেই। আমি গত দুই বছর থেকে পারফরম্যান্স আর্ট নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করছি। আমি ‘ঐকাত্ম্য’ নিয়ে চলতি বছরের মে মাস থেকে কাজ শুরু করি। জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে মহড়া কার্যক্রম পরিচালনা করি।
তিনি আরও বলেন, ঐকাত্ম্য পারফরম্যান্স আর্টের মাধ্যমে দর্শকদের বুঝাতে চেয়েছি পৃথিবীতে কত রকমের মানুষ। শারীরিক ও মানসিক গঠনে প্রত্যেকেই নিজস্ব একক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, জাতিসত্তা ও শ্রেণীকরণেও পৃথক। পৃথিবী হবে এমন যেখানে মানুষ হবে মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু।
বিজ্ঞাপন
ঐকাত্ম্য পারফরম্যান্স আর্টের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন নাঈম রাজ, সহ-শিল্পী ছিলেন নাঈম রাজ, উম্মে হানি, সৌরভ বিশ্বাস (রুদ্র), কপোতাক্ষী নূপুরমা সিঞ্চি, কাদেরুজ্জামান কমল ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ। সেট ডিজাইন করেছেন নাঈম রাজ ও মাহাবুবুর রহমান। পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন নাঈম রাজ ও কপোতাক্ষী নূপুরমা সিঞ্চি, আলোক পরিকল্পনা ও প্রক্ষেপণ করেছেন মাহাবুবুর রহমান। চিত্রগ্রাহক খমক মন্ত্রসহ সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আশফিকুর রহমান ও সাব্বির হোসেন।
এমটি/ওএফ