সরকার নির্ধারিত বয়স ২৫ না হওয়ায় টিকা নিতে পারছেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় দ্রুত সময়ে টিকাপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিতের দাবি করছেন তারা। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা সুরক্ষা অ্যাপে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না। তাছাড়া, সরাসরি কেন্দ্রে গেলেও তারা টিকা পাচ্ছেন না। তাদের আশঙ্কা, টিকা নিশ্চিত না হলে সেশনজট আরও দীর্ঘ হবে। তাই এই মুহূর্তে টিকা নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী বেলাল হোসাইন পাটোয়ারি বলেন, করোনায় দীর্ঘ ছুটিতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়েছে। টিকা পেতে যত দেরি হবে, কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে তত সময় লেগে যাবে, সেশনজট আরও বাড়বে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠান থেকে যদি টিকার ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে পড়াশোনায় গতি আসবে না।

কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান মিশু বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে অগ্রাধিকারে টিকা পেলেও আমরা পাইনি। এখন আমরা চাই, কলেজ থেকে যে ডাটাবেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সেটির সমন্বয় করে ২৫ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করা হোক।

এ বিষয়ে ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছি। গণটিকা ক্যাম্পেইনে অনেক শিক্ষার্থীই স্থানীয় পর্যায়ে টিকা নিয়েছেন। এরপরও যারা বয়স ও জাতীয় পরিচয়পত্রের জটিলতায় টিকা নিতে পারছেন না, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের জন্য আমরা টিকার ব্যবস্থা করব।

এদিকে, এখনো পর্যন্ত টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের নাম কোনো দফতরে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক এটিএম মইনুল হোসেন। ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিতে সরকারের নির্দেশনা অনুয়ায়ী নিবন্ধন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি। ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার ঘোষণার পর এ কার্যক্রমে কার্যক্রমে ভাটা পড়েছিল। এখন যেহেতু আবারও বয়সের সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

 আরএইচটি/আরএইচ