ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) হেলথ এক্সপ্রেস ও আন্তর্জাতিক সংগঠন ‌নারচার লাইফ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ পেয়েছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত করোনা মহামারির সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি শীর্ষক কর্মশালায় ছয় ধাপে ৫০০ ঢাবি শিক্ষার্থীকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর দেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ এক্সপ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা প্রকট হয়েছে। ডিপ্রেশন, প্যানিক, ফোবিয়া, এ্যাংজাইটিসহ নানারকম খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে। আমরা সামনের দিনগুলোতে এরকম আয়োজন অব্যাহত রাখব। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য অপরিহার্য সুস্থ মানসিক পরিস্থিতি যেন নিশ্চিত হয়। আর কোনো শিক্ষার্থীকে যেন আত্মহত্যার মতো ঘটনায় আমাদের হারাতে না হয়।

নারচার লাইফ বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর আশিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের ব্যাপক চাহিদা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের। কিন্তু আমাদের বিদ্যমান ট্যাবু, সুযোগের স্বল্পতা কিংবা সচেতনতার অভাবে এখনো জনসাধারণ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ধোঁয়াশায়। আশা করি, সরকার ও কর্তৃপক্ষ জন চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিনগুলোতে পরিকল্পনা হাতে নেবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ এক্সপ্রেসের মেন্টাল হেলথ উইংয়ের সম্পাদক সাইকোলজিস্ট আনোয়ার রনো বলেন, আমাদের এই আয়োজন একটা শুরুমাত্র। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে প্রচলিত ট্যাবুগুলো আছে, সেগুলো ভাঙার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। সামনে দেশব্যাপী করোনায় আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম নিয়ে আমরা বৃহৎ পরিসরে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

এইচআর/ওএফ