শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (বিদ্রোহী অংশ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্যের সামনে এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা কী?, অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষার নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আদতে কী হচ্ছে?, ইউনিসেফ-ইউনেস্কোর ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব শেষে বন্ধ, সবার আগে খোলা’ নীতি বাস্তবায়নে অনীহা কেন?, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বেতন ও সেশন ফি নেওয়ার হেতু কী? ও শতভাগ টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রোডম্যাপ আদৌ সরকারের আছে কি?- এই প্রশ্নগুলো সামনে রেখে গোল টেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীম উদ্দীন খান, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহাসহ বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (বিদ্রোহী অংশ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজির আমিন জয় এবং সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম।

এ সময় বক্তারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা পর এই আলোচনার প্রয়োজন থাকত না, যদি শিক্ষামন্ত্রীর কথার ওপর কারো বিশ্বাস থাকতো। যেকোনো সংকট বিভিন্ন গোপন বিষয়ের স্বরূপ উন্মোচন করে। করোনা আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের স্বরূপ উন্মোচন করেছে। স্বাস্থ্যখাতে দেখলাম, করোনার সংক্রমণ নিম্নগামী হওয়া শর্তেও আইসিইউ সংকটে মানুষ মারা গেছে। শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে করোনাকালে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

বক্তারা আরও বলেন, করোনার কারণে অনেক শিক্ষক তার পেশা পরিবর্তন করেছেন। শিক্ষার্থীরা শিশু শ্রমে যুক্ত হয়েছে। যাদের সন্তানরা দেশে পড়াশোনা করছে না তারাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে। তারুণ্য, তরুণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর ভয় পায় বলেই তারা যতদিন পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে চায়।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণ এবং কোনো দানাই-পানাই না করে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

এইচআর/এমএইচএস