ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা

স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ন, বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ ও শর্ত সাপেক্ষে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় হয়েছে। অনেকেই কঠিন সব বিষয়ে পাশ করতে পারলেও সহজ একটি বিষয়ে অকৃতকার্য  হয়েছেন। যার কারণে মাস্টার্সেও ভর্তি হতে পারছেন না এসব শিক্ষার্থীরা। তাই এই মুহূর্তে তারা চাইছেন সেসব খাতা আবার দ্বিতীয় পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন করা হোক এবং অকৃতকার্য হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে শিক্ষার্থীদের জানানো হোক।

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মো. বাপ্পি হাওলাদার বলেন, এত শিক্ষার্থী কেন ফেল করেছে তার কারণ জানা যায়নি। সরকারি তিতুমীর কলেজে মার্কেটিং বিভাগে একটি বিষয়ে ১৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২৫ জন ফেল করেছে। এটা কি সম্ভব? আমরা প্রশাসনকে বলেছি, খাতা পুনর্মূল্যায়ন করে ফেল করার কারণ জানাতে। কিন্তু তারা আমাদের কথা আমলে নেয়নি। আমরা চাই দ্রুত বিশেষ পরীক্ষা নেওয়া হোক এবং আমাদেরকে শর্ত সাপেক্ষে মাস্টার্সে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হোক।

শিক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয়ের দায়ভার সাত কলেজ শিক্ষকদের উল্লেখ করে ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী আফরোজ বলেন, সাত কলেজের সবচেয়ে বড় সমস্যা একবারই খাতা মূল্যায়ন করা হয়। যদি দ্বিতীয়বার আরও একজন শিক্ষক দিয়ে নিরীক্ষণ করা হলে এতো বিপর্যয় হতো না।

তবে মাস্টার্সে শর্ত সাপেক্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগের বিষয়টি সাত কলেজ প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ব্যাপার নয় জানিয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেছেন, সাত কলেজের একাডেমিক বিষয়ের সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ মুহূর্তে পরীক্ষা চলমান রয়েছে ও বেশ কয়েকটির রুটিনও প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যেও বিশেষ পরীক্ষার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরাও চাচ্ছি বিশেষ পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও গত আগস্ট মাসের ২৯ তারিখ চার দফা দাবিতে নীলক্ষেত অবরোধ করেছিল সাত কলেজের স্নাতক ২০১৫-১৬ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো-

>> চতুর্থ বর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের খাতা সঠিকভাবে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে অথবা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ পরীক্ষার নোটিশ প্রদান করতে হবে।

>> সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্তৃক ক্লাস যাচাই।

>> শিক্ষার্থীদের যেকোনো একাডেমিক সমস্যা নিজ কলেজের মাধ্যমে সমাধান করা।

>> সব বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ এবং বিভিন্ন বিভাগের আটকে থাকা পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রকাশ করা।

আরএইচটি/ওএফ