শুধু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজনে 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, একাডেমিক চেতনা, জাতীয় ঐক্য ও কলঙ্ক মোচন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.কামালউদ্দীন আহমদ।

তিনি আরও বলেন, কোনো কিছুর বিনিময়ে নয়, বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে হবে ভেতর থেকে, ভালোবাসা থেকে, বিবেক থেকে। কারণ এ বাংলাদেশ, বাংলাদেশের পতাকা আমরা বঙ্গবন্ধুর কারণেই পেয়েছি। সেই বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে সবারই জানা উচিত। সর্বত্র বঙ্গবন্ধুর চর্চা হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইসরাফিল আলম রাফিলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান হুসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস।

আলোচনা সভায় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস বলেন, ১৫ আগস্ট যারা হত্যাকাণ্ড চালায় তারা বাঙালিমনা ছিল না। পাকিস্তানি ভাবধারা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে। কার্যত এটিই এদেশকে বহুদূর পিছিয়ে দিয়েছে৷

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন নাম। শেখ মুজিবকে সত্যিকার অর্থে ধারণ করতে হবে। তিনি বিশ্বাস করতেন এ দেশ সোনার দেশ ও সুন্দর দেশ হবে। পাকিস্তানি ভাবধারা এখানে আসবে না সেটিও তিনি বিশ্বাস করতেন ৷ ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ২১ বছর পরাজিত শক্তি এদেশকে পেছনে টেনেছে। কারণ পরাজিত শক্তি এদেশকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি ।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিতে হিন্দু-মুসলমান বলে কোন জাতিভেদ ছিল না। তিনি সবাইকে সমান চোখে দেখতেন। তার জীবনাদর্শের মধ্যেই জাতীয় ঐক্য খুঁজে পাওয়া যায়। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা করতে হবে।

এমটি/এসকেডি