জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদারের ঝুলন্ত মরদেহ গোপালগঞ্জের সদর থানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় বাড়ির পাশের গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া গেছে।

পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কয়েকপাতা সুইসাইড নোটও পাওয়া গেছে। লাশ এখন পোস্ট মর্টেমের জন্য গোপালগঞ্জে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

আমিতোষ হালদার গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার পাটিকেলবাড়ি ইউনিয়নের ভূপেন হালদারের ছেলে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা।

একই ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফসান জানি খান বলেন, বিভিন্ন সমস্যায় তিনি দুই বছর গ্যাপ দিয়েছেন। সিনিয়র হওয়াতে আমরাও তেমন জোর করে সম্পর্ক করতে যেতাম না। ধারণা করা হচ্ছে মানসিক হতাশা থেকেই এই মৃত্যু। খুবই অসাধারণ মানুষ ছিলেন।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবির বলেন, অমিতোষ ক্লাসে খুব চুপচাপ থাকত। শিক্ষক হিসেবে তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়াটা প্রচণ্ড কষ্টদায়ক। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গত মাসে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। বুধবার রাতে বাবা-মাকে ঘরের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে তিনি গাছের ডালে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। পুলিশ খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এমটি/ওএফ