রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী তানভীর আলম তুষারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর হারাগাছ রোড সাহেবগঞ্জ এলাকার বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আত্মহত্যার আগে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে 'আই কোয়াইট ফর এভার' লিখে একটি স্ট্যাটাসও দেন তিনি। তানভীর বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে তানভীরের ঘর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। পরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এদিকে মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুষার একটি স্ট্যাটাসে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে চিরতরে প্রস্থানের ইঙ্গিত দেন। তবে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি। আত্মহত্যার পূর্বে তুষার হতাশাগ্রস্ত ও দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সদা হাস্যোজ্জল তুষারের এভাবে চলে যাওয়ায় তার সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন।

বেরোবির অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন বলেন, সকালের দিকে বাড়িতে সে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। এখন পর্যন্ত আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তুষার খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। আমরা এ ঘটনায় শোকাহত।

তুষারের আত্মহত্যার ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তার পরিবারের লোকজন। তবে প্রতিবেশিদের দাবি, কয়েকদিন আগে তুষারের সাথে তার পরিবারের ঝগড়া হয়েছিল। সম্প্রতি তার বাবার সাথে কথা কাটাকাটিও হয়েছে।

এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তুষার করোনাকালীন মোবাইলে টাকা দিয়ে খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েন। মোবাইলে জুয়া খেলতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হন। এ নিয়ে তিনি মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। তবে এখনো আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরআই