ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরাকি চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আবদুলসালাম সাদ্দাম মোহাইসেন। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) উপাচার্যের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ঢাবি রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার এবং জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে বিশেষ করে বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ইরাকের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাবির যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর সম্ভাব্যতা নিয়ে মতবিনিময় করেন। এ সময় ঢাবি এবং বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বাগদাদ হচ্ছে প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশ এবং ইরাকের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ক এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম এ দুই দেশ সর্বদা শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

ইরাকি চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আবদুলসালাম সাদ্দাম মোহাইসেন ঢাবিতে ইরাকি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তিনি উপাচার্যের সহযোগিতা চান। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাগদাদ সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের এই মহান নেতার অবদান অবিস্মরণীয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ইরাকি চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আবদুলসালাম সাদ্দাম মোহাইসেনকে ইরাকি শিক্ষার্থীদের ঢাবিতে ভর্তিসহ সম্ভাব্য সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আগ্রহ প্রকাশ করায় উপাচার্য ইরাকি চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে ধন্যবাদ জানান।

এইচআর/এমএইচএস