রাবি শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ১ জনকে পুলিশে সোপর্দ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেল চারটায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ভবনের সামনে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মারধরের শিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরামিক অ্যান্ড স্কাল্পটার বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মশিহুর আলম মেহেদী। আর অভিযুক্ত সুলতান মো. আল নূর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়িন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছিলেন অভিযুক্ত সুলতান। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মশিহুরের সাথে ওই ছাত্রীর সম্পর্ক থাকার ব্যাপারটি জানতে পারেন তিনি। তবে দুপুর আড়াইটার দিকে চারুকলা ভবনে আসেন সুলতান। পরে ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনেই মশিহুরকে মারধর শুরু করে।
পরে রাবি শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা অভিযুক্তকে মারধর করে সেখানে আটকে রাখেন। সেখানে উপস্থিত ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে চারুকলা ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখান থেকে সুলতানকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেদী বলেন, আমি আমাদের থিওরি ক্লাস শেষে ওরিয়েন্টাল ক্লাসে যাচ্ছিলাম তখন ওই ছেলে আমাকে ডাক দেয়। আমার বান্ধবীকেও ডাকে। এরপর অতর্কিতে আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমার হাত কেটে গেছে, নাক ফেটে গেছে ও দাঁত ভেঙে গেছে। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন এ ঘটনায় ওই ছেলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী বলেন, প্রেম সম্পর্কিত একটি ঘটনায় চারুকলা ভবনে এসে বহিরাগত এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে। তাকে এরই মধ্যে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এখন সে পুলিশ হেফাজতে আছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে থানায় মামলা করব। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মেশকাত মিশু/আরআই