আটকে রাখা বাস

ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তরঙ্গ প্লাস কোম্পানির দুটি বাস আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম মিরাজ হোসেন। তিনি কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল দশটার দিকে সাত কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে আসার সময় শাহবাগ এলাকায় তরঙ্গ প্লাস বাসের হেলপারের মারধরের শিকার হয়েছি। তালিকা অনুযায়ী ভাড়া দিতে চাইলে তার কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন বাসের হেলপার। পরে ভাড়ার তালিকা দেখতে চাইলে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন হেলপার। একপর্যায়ে মারধর করে আমার টি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন।

চোখের নিচে ব্যথা পেয়েছেন ওই শিক্ষার্থী

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আমি বাস থেকে নেমে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ বক্সে জানাই। এরপর কলেজে এসে ছেঁড়া টি-শার্ট গায়েই পরীক্ষা দিই। তাদের মারধরের কারণে আমার চোখের নিচে ও হাতে ব্যাথা পেয়েছি। কয়েক জায়গায় কেটেও গিয়েছে।

বিষয়টি সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আটক হওয়া দুই বাসের চালক ও সহকারীরা। 

বাসের চালক রায়হান বলেন, গাড়ি নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় দিয়ে যাচ্ছিলাম৷ কিছু ছাত্র গাড়িতে উঠে যাত্রী নামিয়ে গাড়ি ঘোরাতে বলে৷ পরে ঢাকা কলেজের পাশের নায়েমের গলিতে এনে গাড়ি থামায়ে বসে থাকতে বলে৷ এখন গাড়ি নিয়ে এখানেই বসে আছি ৷ আমরা কিছু জানি না৷ বিষয়টি আমরা মালিকপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আসছেন। এলে হয়তো আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হবে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স.ম. কাইয়ুম বলেন, যেহেতু ঘটনা শাহবাগে ঘটেছে এটি শাহবাগ থানার বিষয়৷ আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছি যেন শাহবাগ থানায় কথা বলে আইনি সহায়তা নেন।

আরএইচটি/আরএইচ