কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ফোনকল রেকর্ড ফাঁসের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। শুধু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ নয়, তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে তাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমাতুল্লাহ, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হুসাইনসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলেছিলাম- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার এই লাগামহীন পাগলা ঘোড়াটাকে টেনে ধরুন, কিন্তু আপনি শুনলেন না। সর্বশেষ তিনি নারীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করতে শুরু করলেন। এমনকি আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বোনদের নিয়েও কুরুচিকর মন্তব্য করা শুরু করলেন। তিনি জানেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়ে কেউ পার পায় না।

তিনি আরও বলেন, তাকে (ডা. মুরাদকে) কেবল মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করলে হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, নৈতিক স্খলন জনিত কারণে আপনারা তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করুন এবং গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন। 

সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, রাষ্ট্রের কোনো এমপি-মন্ত্রী কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যখন অপরাধ করে, তখন তাকে শুধুমাত্র তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু কোনো শাস্তির আওতায় আনা হয় না। যার ফলশ্রুতিতে দেশে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা এ সমাবেশ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, ডা. মুরাদকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমাতুল্লাহ বলেন, ডা. মুরাদ হাসানের এসব বিতর্কিত মন্তব্য আপনাদেরই শিখিয়ে দেওয়া বুলি। সে যখন ধর্মীয় সম্প্রতি বিনষ্টের জন্য কথা বলেছে, তখনও আপনারা এই কুলাঙ্গারের বিরুদ্ধে কথা বলেননি। আপনারা সুকৌশলে এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছেন। এদেশের নারীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য সমর্থন করছেন। কিন্তু আমরা এদেশে কোনো কুলাঙ্গারকে স্বাধীনভাবে ঘুরতে দেবো না। 

এইচআর/এইচকে