মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘নারীপক্ষ’। ১৯৮৮ সাল থেকে বিজয় দিবসের আগে এ আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘একাত্তরের যুদ্ধ সন্তানদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি’ দাবি।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করে সংগঠনটি।

নারীপক্ষের সদস্য কামরুন নাহারের আহ্বানে দলীয়গান ও মোমবাতি প্রজ্বলন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন জলতরঙ্গ। অনুষ্ঠানে আরও গান পরিবেশন করেন সোমা দাস। আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, আসমাউল হুসনা আঁখি ও আবু জাফর উবায়দুল্লাহ। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষের সদস্য রেহানা সামদানী কণা। এ সময় তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা ছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। যেখানে ন্যায়, নীতি ও ইনসাফ হবে মূল মন্ত্র। যে রাষ্ট্রে প্রতিটি মানুষের জীবনের অধিকার সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমাদের সেই প্রত্যাশিত রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে আমরা (নারীপক্ষ) সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দত্তকসূত্রে বিদেশে অবস্থানরত সকল যুদ্ধ সন্তানকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য উন্মুক্ত আহ্বান জানানো হোক এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে দেশে বসবাসরত যুদ্ধ সন্তানদের পরিচয়কে সম্মানসূচক অবস্থানে স্থাপন করা হোক।

এইচআর/আইএসএইচ