খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে সাদাকালো ফ্রেমে আলো-ছায়ার মাঝে তুলে ধরা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দুর্লভ সব আলোকচিত্রে অনন্য রূপে সেজেছে কুয়েট বঙ্গবন্ধু কর্নার।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’-এর উদ্বোধন করেন কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।

কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের নিচ তলায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার-এর প্রবেশদ্বারে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ‘জনকের ডাকে জাতির মুক্তি’ শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে পৃথক তিনটি মেটাল ওয়ার্ক দ্বারা একটি শিল্পকর্ম করা হয়েছে। করিডোরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সঙ্গে জীবন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন উপদেশ তুলে ধরা হয়েছে এবং হাতে আঁকা বঙ্গবন্ধুর তিনটি ছবি রয়েছে।

কেন্দ্রের মধ্যে ছোট একটি লাইব্রেরিও রয়েছে। এখানে মোট ২৭৭টি আলোকচিত্রে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে মৃত্যু, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও ব্যক্তি জীবন, রাষ্ট্রপরিচালনা সব পর্যায়ের ফটো বায়োগ্রাফি দিয়ে কেন্দ্রটি সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া সাল অনুয়ায়ী বঙ্গবন্ধুর জীবনবৃত্তান্ত ছবির নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।

নবনির্মিত এই বঙ্গবন্ধু কর্নারে রয়েছে দুর্লভ সব আলোকচিত্র। সেখানে সাদাকালো ফ্রেমে আলো-ছায়ার মাঝে তুলে ধরা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম, কৈশর, কলেজ জীবন, ৫৪-এর নির্বাচন থেকে শুরু করে আন্দোলন সংগ্রাম, দেশ গঠন এবং ঘাতকের বুলেটে রক্তাক্ত আলোকচিত্রসমূহ। এ ছাড়া, সেখানে স্থান পেয়েছে স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন দূর্লভ দলিল, দেশি-বিদেশি পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রকাশিত সংবাদের ছবি ও আলোকচিত্র।

আরও রয়েছে বঙ্গবন্ধুর হাতে লেখা বেশকিছু চিঠি, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিভিন্ন বই। এখানে আলোকচিত্র ও শিল্পীর কারুকাজে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার আলোকচিত্র এবং ইতিহাসের দুর্লভ দলিল সমৃদ্ধ এই বঙ্গবন্ধু কর্নারটি খুলনার মধ্যে অন্যতম যা প্রায় এক বছর কাজ করার পর ১৫ ডিসেম্বর উদ্বোধনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছি। এই বঙ্গবন্ধু কর্নারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ এ অঞ্চলের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা প্রদান করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কে এম আজহারুল হাসান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. গোলাম কাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. কাজী এবিএম মহীউদ্দিন।

মোহাম্মদ মিলন/আরআই