এবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মনোনীত প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাচ্ছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মেয়ে ৫ জন ও ছেলে শিক্ষার্থী ৩ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাবিপ্রবির সংশ্লিষ্ট ডিন অফিস।

মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ নিজ নিজ অনুষদে সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী শিক্ষার্থীরা এ পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তবে, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দুই ব্যাচের (হাবিপ্রবির ১৪ ও ১৫ ব্যাচ) ফলাফল ২০১৯ সালে প্রকাশিত হওয়ায় কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে প্রার্থী নির্বাচনে।

এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদক প্রাপ্তির নীতিমালা অনুযায়ী হাবিপ্রবির ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী আল জান্নাতুন নূর সিজিপিএ-৩.৯১ অর্জন করে এগিয়ে রয়েছেন। পক্ষান্তরে হাবিপ্রবির ১৫ ব্যাচের রিয়াজ আহমেদ ও মতিউর রহমান তারেকের সিজিপিএ-৩.৮৩। এই বিষয়ে জটিলতা থাকায় তিন শিক্ষার্থীর সব তথ্য ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অফিস।

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছেন ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত আফরিন (সিজিপিএ ৩.৯২), ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেছেন জাকিউল হাসান জিহাদ (সিজিপিএ ৩.৯০), মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেছেন ফারজানা খানম (সিজিপিএ ৩.৯৬)।

সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিস অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করেছেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী বাবর আহমদ (সিজিপিএ ৩.৭৮) এবং কৃষি অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করার রেকর্ড গড়েছেন অনন্যা খাতুন (সিজিপিএ ৩.৯৬)।

আবার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফরোজা সুলতানা (সিজিপিএ ৩.৯১) এবং বিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনের রেকর্ড গড়েন গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রিসাত হোসাইন (সিজিপিএ-৩.৯৯)।

শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বে গর্বিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের সাফল্যে আমি খুবই খুশি। তাদের সাফল্য কামনা করছি। আশা করি শিক্ষার্থীরা এ ফলাফল আগামীতেও ধরে রাখবে।

ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক মো. কামাল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার স্বাভাবিকভাবে সব কাজে সময় বেশি লাগছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী পদকের জন্য অধিকাংশ কাজ শেষ করেছি। করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আমরা অনুষ্ঠনটি দ্রুতই করতে পারবো বলে আশা করছি। মূলত সব কাজ শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে আমরা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে চাই।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রদান শুরু করে।