ঢাকায় গিয়ে নয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে অনলাইনেই আলোচনায় বসতে চান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তারা এ কথা জানান। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী। যেহেতু আমাদের অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ, সেহেতু আমরা তাদের রেখে ঢাকায় যেতে পারি না। আমরা আশা করব শিক্ষামন্ত্রী আমাদের এখানে আসবেন এবং বর্তমান পরিস্থিতি তিনি দেখবেন এবং আলোচনা করবেন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত শিক্ষামন্ত্রীর পাঠানো প্রতিনিধি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল শিক্ষার্থীদের বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আপনাদের এখানে আসতে চাচ্ছেন তবে ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি দুই একদিনের মধ্যে আসতে পারছেন না। কিন্তু তিনি আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। তবে শিক্ষার্থীরা যতজন চান তারা ঢাকায় আলোচনায় বসতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসি আমাদের ওপর বোমা মেরেছে, গুলি করেছে, পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ করিয়েছে। এগুলো সবই প্রমাণিত। আমরা অসুস্থ অনশনরত ভাই-বোনদের রেখে কীভাবে যেতে পারি। আমরা ঢাকায় না গিয়ে অনলাইনে আলোচনায় বসতে চাচ্ছি এবং শিক্ষামন্ত্রীকে আমাদের পরিস্থিতি দেখতে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, আসলে অনলাইনে তো সব বিষয়ে আলোচনা হয় না। সামনা-সামনি অনেক বিষয় উঠে আসে। এজন্য তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) সামনা-সামনি বসতে চাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ঢাকায় যেতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সরাসরি কথা বললে বিষয়টি ভালোভাবে সমাধান হতো।

পরে শিক্ষার্থীরা অনলাইনেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বলে জানিয়েছেন। 

এর আগে বিকেল ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের ফোনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। 

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। আপনারা আপনাদের মধ্যে কথা বলে ঠিক করেন যে কারা আসবেন। আপনাদের যারাই আসবেন আমি তাদের সাথেই কথা বলব।

তিনি বলেন, আমি চাই না যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কষ্ট পাক। আপনারা যদি আজকে সন্ধ্যায়ই আসতে পারেন তাহলে আজকেই আমি আপনাদের সময় দেব। আমি চাই যেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক।

এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এক ঘণ্টা সময় চান, যেন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নিতে পারেন যে কারা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে যাবেন। 

জুবায়েদুল হক রবিন/আরএআর