‘ভিসি ফরিদ উদ্দিন! শিক্ষার্থীদের জীবনের চেয়ে আপনার গদি বড় নয়, ক্ষমতার মসনদকে লাথি মারতে পারলে শিক্ষক তারে কয়। এখনই পদত্যাগ করুন।’ এমন লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে সমাজতত্ত্ব বিভাগের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে তাকে একাই অবস্থান করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে মাইদুল ইসলাম বলেন, আমি শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। শিক্ষকরাই তো ভিসি হন। কিন্তু সেই ভিসি যদি পুলিশ- লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে আমাদের সন্তানদের আঘাত করেন, তখন তিনি আর শিক্ষক থাকেন না। আমি শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভিসি ফরিদের পদত্যাগ চাইছি।

প্রসঙ্গত, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এর জের ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

পরে ওইদিন বিকেলে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে উল্টো উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশন শুরু করেন, যা মঙ্গলবার সপ্তম দিনে গড়িয়েছে।

রুমান/আরআই