রংপুর কারমাইকেল কলেজে চলমান পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতিকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ হামলার ঘটনা হয়।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান ও সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা অনার্স ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী। পরীক্ষার শেষ মূহুর্তে হঠাৎ পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। এই পরীক্ষার কারণে কোনো চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছি না। এ অবস্থায় স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালনে আমরা একত্রিত হলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় ও কর্মসূচি পণ্ড করে দেয়।

তারা আরও বলেন, এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিতণ্ডা, হাতাহাতি ও সংঘর্ষ হয়। এতে পাঁচ সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। পরে শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

কলেজ শিক্ষার্থী ফাহিম ফেরদৌস বলেন, আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আহত করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

গোলাম ফিরোজ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা তো সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি পালন করছিলাম না। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যও না। আমাদের ওপর কেন হামলা করা হলো?

এ বিষয়ে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ বলেন, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে। তবুও কলেজে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছিল একটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের বাধা দেয়নি, উল্টো তারাই খারাপ ব্যবহার করেছে।

কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমজাদ হোসেন জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের যে কোনো দাবি-দাওয়া নিয়ে মানববন্ধন করতেই পারে, এতে দোষের কিছু নেই। তবে আমাকে জানালে ভালো হতো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ বাধা দিয়ে থাকলে তা খুবই দুঃখজনক।

শিপন তালুকদার/আরআই