দাবি আদায় না হওয়ার আগ পর্যন্ত অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলনের ধরণ পরিবর্তন করেছি। আমরা জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যামের অনুরোধে অনশন থেকে সরে এসেছি। যতদিন আমাদের দাবি আদায় না হচ্ছে, ততদিন আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, রোড পেইন্টিং এবং সভা-সমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

তারা বলেন, আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অবরোধ তুলে দেবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সব ফটক খুলে দেবো। একাডেমিক ভবনগুলোর তালাও খুলে দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, আজ সকালে শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে জাফর ইকবাল স্যারের মাধ্যমে দেওয়া ৫টি দাবির মধ্যে ৩টি দাবি মানা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ সাবেক শাবি শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে, অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ১৬ জানুয়ারি ভিসির মদদে সংঘটিত নারকীয় পুলিশি হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসি প্রত্যাহার এবং ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণের দায়িত্ব জাফর ইকবাল স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যাম শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নিয়েছেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের সমস্ত আবাসিক হল যা বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সচল রেখেছে সেগুলোও পুরোদমে চালু হবে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সব খাবারের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমরাই একটি টং স্থাপন করেছি। আমাদের এই টং খোলা থাকবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য সাধ্যমতো খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।

জুবায়েদুল হক রবিন/এমএইচএস