বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ দ্রুত তদন্তপূর্বক দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। 

রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন সিকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল, ভাস্কর শিল্পী রাশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম মাহিম প্রমুখ।

মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন জালাল বলেন, রাষ্ট্রের অর্থ লুটের চেষ্টাকারী দুর্নীতিবাজদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আহ্বান, আপনি দ্রুত আপনার ভাইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রমাণ করুন যে, আপনার মন্ত্রণালয় দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। তদন্ত কাজ প্রভাবমুক্ত থাকার জন্য আপনাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন সিকদার বলেন, তদন্ত কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত দাগের ভূমি হস্তান্তর ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৩৫৯ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার ৭৮২ টাকা। একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে দায়ীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে।

সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, সরকারকে অবশ্যই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে দুর্নীতিবাজদের বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে শিক্ষামন্ত্রীকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে সরকারের প্রতি আহ্বান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণ করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এইচআর/আরএইচ