অধ্যাপক জহীর উদ্দিন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে নতুন ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ অসুস্থ হওয়ার কারণে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন। এ আদেশ তার যোগদানের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এদিকে গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এবং প্রক্টর ড. আলমগীর কবীরের পদত্যাগ দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষর্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, গত প্রায় ৪ সপ্তাহ যাবত শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তার মূল দাবি ছিল ১৬ জানুয়ারির নারকীয় পুলিশি হামলার নির্দেশদাতা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ বা অপসারণ। এর পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং অথর্ব প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ। কিছুক্ষণ আগে আমাদের নজরে এসেছে দায়িত্ব পালনে আপাদমস্তক ব্যর্থ ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক জহীর উদ্দিন আহমদকে তার পদ থেকে অব্যহতি দিতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তিনি বলেন, তবে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের প্রায় ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো আমাদের ওপর ঝুলে থাকা মিথ্যা মামলাসমূহ প্রত্যাহার করা হয়নি। এছাড়াও বহু শিক্ষার্থীর বিকাশ, নগদসহ বহু মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত বন্ধ আছে। যা খুলে দেওয়ার কোনো দৃশ্যমান প্রচেষ্টা এখনও আমাদের চোখে পড়েনি। এই সমস্ত বিষয়ে আমরা অতিসত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাই। 

শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, সর্বোপরি আমাদের মূল দাবি এখনো পূরণ হয়নি। কাজেই উপাচার্যের পদত্যাগ বা অপসারণের আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 

জুবায়েদুল হক রবিন/আরএআর