ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে সম্প্রতি একটি সরকারি কলেজে মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব নিষিদ্ধ এবং হিজাব পরিহিতা মুসলিম নারীকে হেনস্তার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম বলেন, ভারতের সেক্যুলার সংবিধান অনুযায়ী নিজস্ব ধর্মীয় বিধান পালন ও পোশাক পছন্দের বিষয়টি একজন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের মতো সংবিধান বিরোধী নির্লজ্জ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জেরে ভারতে মুসলিম বিদ্বেষের ঘটনা ঘটেছে। কোথাও বাসে পাথর বৃষ্টি, কোথাও পুলিশের লাঠিচার্জের মতো ঘটনা ঘটেছে। 

কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হলে এর প্রভাব বাংলাদেশও পড়ার সম্ভাবনা আছে। তাই সরকারের উচিৎ এই ইস্যুতে কূটনীতিক তৎপরতা জোরদার করে দেশের সম্প্রীতি রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাতসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, গত মাসে ভারতের উদিপি জেলায় এক সরকারি কলেজে ৬ মুসলিম ছাত্রী অভিযোগ করেন, হিজাব পরে তাদের ক্লাসে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে। ওই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদিপি ও অন্যান্য জেলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মামলাও হয় হাইকোর্টে। যা নিয়ে সহিংসতা ও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ভারতে। 

এইচআর/এইচকে