পাখির ডাকে ঘুম ভাঙে বেরোবি শিক্ষার্থীদের
রাত শেষে ভোর হতেই শুরু হয় পাখিদের কিচির-মিচির কলকাকলি। কাক, শালিক, কোকিল, বুলবুলি, চড়ুই, ঘুঘু, কাঠ ঠোকরা, মৌটুসি, সুরেলা পাপিয়া ইত্যাদি পাখি সারাক্ষণ মুখরিত করে রেখেছে। এসব পাখির কলকাকলি শুনে ঘুম ভাঙে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের।
পূর্ব আকাশে সূর্যের আভা দেখা দিতেই পাখিরা এসে হাজির হয় আবাসিক হল সংলগ্ন গাছগুলোতে, হলের বারান্দায়, ছাদে ও জানালার কাছে। সুরেলা কণ্ঠে কিচির-মিচির শব্দ করতে থাকে। শিক্ষার্থীরাও এসব শব্দ শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ আবার পাখিদের খাবারও দেয়।
বিজ্ঞাপন
শহীদ মুখতার ইলাহি আবাসিক হলের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম বলেন, খুব সকালে পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ শুনতে ভালোই লাগে। মনে হয় যেন গ্রামের বাড়িতেই আছি।
বিজ্ঞাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের শিক্ষার্থী রাসেদুল ইসলাম বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই পাখি খুব পছন্দ করি। পাখি ধরার জন্য জঙ্গলেও যেতাম। ধরে এনে পোষ মানানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু অনেক আদর যত্ন করার করলেও কিছুদিন পর দেখা যেত হয় পাখিটা উড়ে যেত না হয় কোনোভাবে মারা যেত। তখন খুব খারাপ লাগত। এখন আমার হল রুমের আশপাশে পাখি বাসা বাঁধে। ওদের মাঝে মাঝে খাবার দেই। চেষ্টা করি কেউ যেন ওদের বিরক্ত না করে।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসিক হলের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বলেন, আমাদের হলের আশেপাশে অনেক গাছ হওয়ায় পাখি বাসা বেঁধেছে। সকাল হলেই পাখিদের ডাক শোনা যায়। কিছু পাখি হলের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। পাখির ডাক ভালোই লাগে। তবে কাক প্রতিদিন সকালে আমার জানালার কাছে উচ্চস্বরে শব্দ করে, এটি খুবই বিরক্ত লাগে। মাঝে মাঝে তাড়িয়ে দেই তবুও প্রতিদিন আসে।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও পাখি প্রেমিক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির ৩৬ হাজার গাছ রয়েছে। এসব গাছে বাসা বেঁধেছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। সচরাচর যেসব পাখি দেখতে পাওয়া যায় না, সেসব দুর্লভ প্রজাতির পাখিও রয়েছে ক্যাম্পাসে। আমি নিজেই অর্ধশতাধিক প্রজাতির পাখির ছবি তুলেছি।
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। পাখিগুলো পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাখি যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করে।
এসএসএইচ