গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে সোহেল ভূঁইয়া (৩৬) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার  অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে সেখান থেকে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে।

নিহত সোহেল ভূঁইয়া বাহাদুরসাদী গ্রামের মৃত ছালাম ভূঁইয়ার ছেলে।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. যোবায়ের জানান, সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার বাম পায়ে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও ডান পায়ে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

নিহতের ছোট ভাই সোহাগ ভূঁইয়া জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কয়েকজন প্রতিবেশী সোহেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে জেরিন নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ এনে সোহেলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ও মুখে গামছা পেঁচিয়ে মারধর করেন। তার অবস্থা খারাপ দেখে অভিযুক্তরা তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই সোহেলের মৃত্যু হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) অভিজিৎ দাস জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে আহত অবস্থায় প্রতিবেশী পরিচয়ে জুবায়ের ও পনির নামে দুইজন লোক সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু এরই মধ্যে সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ওই দুইজন পালিয়ে যান। সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

শিহাব খান/আরএআর