সরকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সুযোগ নিয়ে মধ্যবিত্তদের নিম্নবিত্ত বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কথা দিয়ে কথা রাখে নাই। দেশ আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। ধনীরা আরও বিত্তশালী হচ্ছেন। আর মধ্যবিত্তরা নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছেন। জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি আসবে না।

সোমবার (২৮ ফেব্রয়ারি) বিকেলে রংপুর মহানগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুর মহানগর বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।  

সমাবেশে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, বিনাভোটের অবৈধ সরকার দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। পরিকল্পিতভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়ে দুর্নীতির মাধমে দেশকে ৭৪’র দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকারকে জনগণ আর দেখতে চান না। নতুন সিইসিতে আওয়ামী লীগ খুশি হলেও অধিকার বঞ্চিত জনগণ খুশি হয়নি। সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে দুর্বার আন্দোলনই পতন ডেকে আনবে।

রংপুর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আনম খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহিম), জেলা বিএনপি সভাপতি রইচ আহমেদ, যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুর হাসান সুমন প্রমুখ।

বক্তারা সরকার প্রধান ও নতুন নির্বাচন কমিশনারের কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের অনুমতি না পাওয়ায় রংপুর বিএনপির নেতাকর্মীরা দুপুরের পর থেকে নগরীর ছালেক পাম্প এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বিকেলে সাড়ে ৪টায় সেখান থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে আসে। সেখানে দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে মঞ্চ করতে না দেওয়ায় ট্রাকে উঠেই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নেতারা।

এ সময় সমাবেশ স্থলের চারপাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়। এরই মধ্যে নগরীর এক পাশে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশ ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই