স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে জেনে যাওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা
ফাইল ছবি
রংপুরের মিঠাপুকুরে স্বামীর পরকীয়া ও দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেয়ায় সরিন বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী রাজু মিয়া (৩৭) পলাতক রয়েছেন।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বৈরাগীগঞ্জ কালীগঞ্জ গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
নিহত নাসরিন বেগম নগরীর দমদমা লক্ষণপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ মুনশির মেয়ে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, পাঁচ বছর আগে নাসরিন বেগমের সঙ্গে মিঠাপুকুরের কালীগঞ্জ গ্রামের তালেব মিয়ার ছেলে রাজু মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়েতে ছেলের পরিবারকে দুই লাখ টাকাসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার দেয় নাসরিনের পরিবার। রাজু মাদক সেবন ও জুয়া খেলে সব কিছু নষ্ট করে।
বিজ্ঞাপন
পরে আরও টাকা দাবি করে নাসরিনের পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। টাকা না পেয়ে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন চালায়। এরই মধ্যে রাজু একই উপজেলার বলদিপুকুর গড়েরপাড় গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিস-বৈঠক হয়। এতে রাজু আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। সম্প্রতি রাজু ওই নারীকে গোপনে বিয়ে করেন।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে বলে জানান তাদের প্রতিবেশীরা। শনিবার সকালে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের দাবি, রাজু তার স্ত্রী নাসরিনকে পিটিয়ে হত্যা করে ঘরের মধ্যে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে।
নিহতের বাবা ইলিয়াছ মুনশির বলেন, রাজু মাদকাসক্ত ছিল। বিয়ের পর থেকেই নাসরিনকে নির্যাতন করত। বিভিন্ন নারীর সঙ্গে তার পরকীয়ার সর্ম্পক ছিল। সম্প্রতি গোপনে এক নারীকে বিয়ে করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। শনিবার সকালে মেয়ের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে জামাইয়ের বাড়িতে এসেছি। এখানে তো কেউ নেই। সবাই পালিয়ে গেছে।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুজ্জামান জানান, এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
এসপি