বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট, বিদ্যুকেন্দ্রে লুটপাট ও সরকারি দলের চাঁদাবাজির কারণে আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। তারা শুধু সরকারি তহবিল লুটপাট করছে না, তারা ভোটের নামে ভোট চুরি করছে, মানুষের পকেট চুরি করছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে।

বুধবার (০২ মার্চ) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমীর খসরু বলেন, সার্চ কমিটি গঠন করে যতই নির্বাচন কমিশনার করা হোক না কেন, আগামীতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া এদেশে আর কোনো নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। নির্বাচনে ইভিএম হলো ভোট চুরির মেশিন। নির্বাচনের আগেই ইভিএমকে সাগরে নিক্ষেপ করে ব্যালেট পেপারে নির্বাচন করতে হবে। 

আমীর খসরু বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। সকল বাধা ভেঙে বিএনপির দাবি আদায় করা হবে। এদেশের মানুষ দুই ভাগে ভাগ হয়েছে। এক ভাগ চোরের পক্ষে আর সারা দেশের মানুষ বিএনপির পক্ষে। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চোরদের ধরতে হবে। আগামীতে ১৪৪ ধারা হোক, ১৪৫ ধারা হোক, কোনো ধারা দিয়েই বিএনপিকে আটকে রাখতে পারবে না। কোনো বাধাই মানবে না বিএনপি। কোনো সভা সমাবেশের জন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না।

বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের কেন্দীয় যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক গাজী হাবিব হাসান রিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মোহাম্মদ আরিফ হাওলাদার, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মামুনুর রশীদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, জেলা  বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির, সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস খান মাখন, যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. রেজাউল ইসলাম খান সজিব প্রমুখ বক্তব্য দেন। 

সোহেল হোসেন/আরএআর