কুমিল্লার বাজারে তেল মজুত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একটি মহল তেল সংকটের গুজব ছড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার (০২ মার্চ) বিকেলে কুমিল্লার সব থেকে বড় বাজার রাজগঞ্জ ও চকবাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের তুলানায় তেলের সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। দামও বেশি। তবে দাম বাড়লেও সংকট নেই।

কুমিল্লায় তীর সয়াবিন তেলের ডিলার রাজিব সাহা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত তেল মজুত রয়েছে। তবে দাম বাড়ার কারণে আগের তুলনায় সরবরাহ কিছুটা কম।

রাজগঞ্জের তেল বিক্রেতা রনি জানান, বাজারে পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল রয়েছে। তবে একটি মহল গুজব ছড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য তেল কম দেখাচ্ছে।

ক্রেতা তৈফিক মজুমদার বলেন, বাজারে একেক দোকানে সয়াবিন তেলের দাম একেক রকম। বর্তমানে বোতলজাত সয়াবিন তেল কেউ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা করে রাখছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত তেল রয়েছে। দাম বেশি হওয়ায় কম করে কিনেছি।

রাজগঞ্জ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজগর বলেন, প্রতিটি দোকানে তেল রয়েছে। গুজব ছড়িয়ে তেলের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে একটি মহল। এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটর করছি। অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূল্যে তেল বিক্রি করছে। আমরা বিক্রয় রশিদে গরমিল পেলে জরিমানা করছি। বর্তমানে বাজারে সয়াবিন না থাকার বিষয়টি গুজব, তবে দাম কিছুটা বেড়েছে। একটি মহল তেলের বাজার অস্থির করার জন্য সয়াবিন তেল নেই বলে গুজব ছড়াচ্ছে।

অমিত মজুমদার/আরএআর