নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ফতেহপুর এলাকায় গত শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে নুরে আলম (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত নুরে আলম উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কুমারচর গ্রামের মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে। তিনি সৌদি প্রবাসী, কিছুদিন পূর্বে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।
  
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ফতেহপুর দড়িকান্দী এলাকায় কুমারচর বনাম গাংকুলকান্দী গ্রামের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার এক পর্যায়ে গাংকুলকান্দি গ্রামের হানিফ মিয়ার সঙ্গে কুমারচর গ্রামের নুরে আলমের কথাকাটাকাটি হয়। খেলা শেষ হলে পরিকল্পিতভাবে গাংকুলকান্দি গ্রামের হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে আউয়াল মিয়া, শরীফ মিয়া, অনিক মিয়া, শাহ আলী, সাইদুল মিয়া, মারুফ মিয়া, সানজিদ হোসেন, মুসা মিয়াসহ ১৫/২০ জনের একটি দল দা, ছেনা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুমারচর গ্রামের খেলোয়ারদের ওপর হামলা চালানো হয়। 

হামলায় রনি মিয়া, খোরশেদ মিয়া, রাসেল মিয়া, সাখাওয়াত মিয়া ও নূরে আলমসহ ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে তারা। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরে আলমের মৃত্যু হয়।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পরের দিন নুরে আলমের চাচাতো ভাই মমিন মিয়া বাদী হয়ে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

এ বিষয়ে নুরে আলমের ভাই সালাউদ্দিন বলেন, খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজকে তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিল। কিছুদিন পূর্বে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল আমার ভাই।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলাটিই হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কয়েকটি দল কাজ করছে।

শেখ-ফরিদ/আরআই