পটুয়াখালীর দুমকিতে যুবলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার গ্রামীণ ব্যাংক সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বনির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে শতাধিক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। একই সময় সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে যুবলীগের একটি বিক্ষোভ মিছিল ওই এলাকা অতিক্রমকালে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয় ঢুকে আসবাবপত্র ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। দুই পক্ষের সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খলিলুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাওলাদার, ফারুক হাওলাদার, যুবদলের সদস্য সচিব রিপন শরীফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামীম হাওলাদার, শ্রমিক দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, পুলিশ কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে দলীয় অফিস ভাঙচুর করেছে। এতে  অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম তুহিনের দাবি, সারাদেশে জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগ মিছিল বের করলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সহিংসতা হয়েছে।

দুমকি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য দেলোয়ার হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/আরএআর