পিঠা ক্রয়ে ব্যস্ত ক্রেতা

হিমালয় কন্যাখ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় জবুথবু এ এলাকার মানুষ। ফলে কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পাঁচ উপজেলার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

এদিকে শীত বাড়ায় উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, ফুটপাতে গড়ে ওঠেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। কেউ খুব সকালে, কেউবা বিকেলে আবার কেউ কেউ সন্ধ্যায় দোকান বসিয়ে পিঠা বিক্রি করছেন। পিঠা বিক্রির টাকা  দিয়ে চলছে তাদের সংসার। কদরও বেড়েছে এ সকল দোকানের।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও ফুটপাতে দেখা যায়, নানা রকমের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে দোকানিরা। পিঠার স্বাদ নিতে দোকানগুলোতে ভিড় করছে নানা বয়সী মানুষ।

জানা গেছে, শীতে নিম্ন আয়ের মানুষরা এভাবে হাটবাজার কিংবা ফুটপাতে ছোট ছোট ভ্রাম্যমাণ দোকান নিয়ে বসেন। এসব দোকানে ভাপা ও চিতই পিঠা তৈরি হচ্ছে বেশি। পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের নারিকেল পিঠা, নুন হাঁস পিঠা, তেল পিঠা, দুধ পিঠা, পুলি পিঠাও পাওয়া যায়।

ভাপা পিঠা

এসব পিঠার দোকানে অনেকে পরিবার নিয়ে আবার কেউ বন্ধুদের নিয়ে আসছেন। অনেকে আবার পরিবারের  জন্য প্যাকেট করে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব পিঠার দামও অনেক কম। প্রতি পিস পিঠা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ থেকে ১০ টাকার মধ্যে।

কথা হয় পিঠা বিক্রেতা আমিনার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, শীতের তিন মাস ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান বসিয়ে পিঠা বিক্রি করি। পিঠা বিক্রির লাভ দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করি৷

একই কথা জানান দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের চৌরাস্তা বাজারের পিঠা বিক্রেতা আসিরুল ইসলা। তিনি জানান, শীতে পিঠার চাহিদা বেশি থাকে। তাই শীতকালে নিজ হাতে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করি।

পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত দোকানি 

আরেফিন বাপ্পী নামে এক ক্রেতা জানান, এ সকল দোকান ছাড়া শীতকালীন পিঠা তেমন একটা চোখে পড়ে না। তাদের জন্য আমরা পিঠার স্বাদ নিতে পারছি। এতে তারা যেমন লাভবান হচ্ছে আমরাও পিঠার স্বাদ নিতে পারছি।

পঞ্চগড় জেলা দিশারী নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, শীতকালীন পিঠা আমাদের বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। শীতকালীন পিঠা আগে বাড়ি বাড়ি তৈরি করা হলেও এখন আর তেমন দেখা যায়। কিছু মানুষ হাটবাজারে এসব পিঠার দোকান দিয়ে বিক্রি করছে। এতে শীতের পিঠার স্বাদ নিতে পারছে অনেকে।

এসপি